
বাংলাদেশ এ ওয়েবসাইট, ডোমেইন, হোস্টিং এসব সম্পরকে মানুষ এর ধারণা খুবই কম। কিছুদিন আগে আমার এক ব্যবসায়ী আংক্ল, যিনি দীর্ঘ দিন যাবত (৩-৪ বছর) তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-এর ওয়েবসাইট ও ইমেইল ব্যবহার করে আসছিলেন, তার ডোমেইন ও হোস্টিং নিয়ে সমস্যা হয়। আমি গিয়ে দেখলাম অনেক বেশি টাকা নিয়ে এক ব্যক্তি খুব নিম্ন মানের সেবা দিয়ে আসছিলেন আমার আংক্লকে। ওনাকে বোঝাতে গিয়ে এই টিউনটা লেখার আইডিয়া মাথায় আসলো। আমি ওনাকে এভাবে বুঝিয়েছিলামঃ ডোমেইন হলো দোকান বা ব্যবসা-এর নাম এর মতো। এটা রেজিস্ট্রেশন করা মানে নাম টার মালিক বনে যাওয়া। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অনেক কোম্পানি আছে। এদের মাঝে গোড্যাডি ডট কম খুবই জনপ্রিয়। তবে অন্য যে কোনো ভালো কোম্পানি থেকেও করা যেতে পারে। নাম রেজিস্ট্রেশন করার পর ব্যবসা টার জন্য অফিস নিতে হবে। এটাই হোস্টিং, আপনার অনলাইন রিয়েল এস্টেট। প্রয়োজন অনুযায়ী জায়গা কিনুন। কেনার পর জায়গা টা ব্যবহার করতে হবে। ডোমেইন যেখান থেকে কিনেছেন, সেখানে আপনার একটি কন্ট্রোল প্যানেল থাকবে। এখান থেকে আপনি বলে দিতে পারবেন আপনার কোন সার্ভিস কোথায় আছে। যেমন ধরুন, ওয়েবসাইট-এর ফাইলগুলি হোস্টিং-এর মূল ফোল্ডার-এ থাকার কথা। সেজন্য হোস্টিং এর নেম সারভার এর আইপি এড্রেসটি ডোমেইন-এর কন্ট্রোল প্যানেল এ উল্লেখ করে দিতে হবে। ইমেইল-এর জন্য সাধারণত ভিন্ন আইপি এড্রেস থাকে। ডোমেইনের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সি-নেম রেকর্ড পরিবর্তন করে ও এটা করা যায়। তবে সেটা এডভান্সড ইউজারদের জন্য বেশি উপযোগী। হোস্টিং কেনার সময় বলে দিতে হয় কোন ওয়েবসাইট-এর জন্য কেনা হচ্ছে। হোস্টিং এর অনেকগুলো প্ল্যান থাকে। এর মাঝে যেটা সুবিধাজনক, সেটা কিনতে হবে। ভিজিটর বেশি, সাইট এর কন্টেন্ট ও বেশি হলে বড় বা আনলিমিটেড প্ল্যান নেয়া যেতে পারে। অন্যথায় স্টোরেজ স্পেস ও ব্যান্ডউইড্থ কম নিলে ও চলবে। যখন আমরা ওয়েব ব্রাউজারের এড্রেস বার-এ কোনো ওয়েব এড্রেস টাইপ করি, তখন রাউটার খুজতে শুরু করে এই এড্রেস-এর ফাইলগুলি কোন আইপিতে পাওয়া যাবে। ডোমেইন কোম্পানি রাউটারকে জানিয়ে দেয় হোস্টিং এর আইপি আর বলে এখানে ফাইলগুলি পাওয়া যাবে। হোস্টিং-এ রাউটার এর রিকুয়েস্ট আসলে হোস্টিং এর ফাইলগুলি ব্রাউজার-এ ওয়েবপেজ আকারে দেখা যায়। অবশ্যই তার জন্য ফাইলগুলিকে যথাযথ ভাবে রাখতে হবে। বাংলাদেশ এ গ্রীন এসইও টুলস ডট কম ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ও হোস্টিং, উভয় সার্ভিস এর জন্য ভালো। দাম ও সাধ্যের মাঝেই। তবে কখনোই এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস একই জায়গা থেকে কেনা উচিত নয়। এতে একটার কিছু হলেও আরেকটা বেচে যাবে। দুটো সার্ভিস ভিন্ন জায়গা থেকে কেনা হলে একটা কোম্পানি বিজনেস বন্ধ করে দিলে ও আরেকটা ঠিক থাকবে। ডোমেইন কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে অন্য কোথাও থেকে একই নাম এ কিনে সেটা হোস্টিং-এ পয়েন্ট করে দিলে হয়ে যাবে। হোস্টিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে যদি সাইট-এর ব্যাক আপ থাকে, তাহলে নতুন হোস্টিং কিনে সেখানে ব্যাকআপ ফাইলগুলি আপলোড করতে হবে। তারপর ডোমেইন-এর কন্ট্রোল প্যানেল থেকে নতুন হোস্টিং এর আইপি এড্রেস দিয়ে দিলেই সাইট পুনরায় অনলাইন হয়ে যাবে।" এর সাথে একটু যোগ করে বলতে চাই, বিদেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন-হোস্টিং কিনলে আগে ফোরামগুলি ঘুরে নিতে ভুলবেন না যেন। যদি কোনো কোম্পানি সার্ভিস খারাপ দেয়, ফোরামগুলিতে এ ব্যাপার এ লেখা হবে। ভালো কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনলে ও নিয়মিত ব্যক আপ নিতে ভুলবেন না। সাইট এর ব্যাক আপ নেয়া বেশ সহজ। নিয়ে রাখলে অনেক অনাকাংক্ষিত ঘটনা থেকে ও নিরাপদ থাকা যায়।
আজ এই পর্যন্ত। আমার চাইতেও অনেক ভাল কেউ বলতে পারবেন হয়তো
প্রিয় পাঠক,পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভালো-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে মন্তব্য প্রদান করুন।যা আমাকে ব্লগিং চালিয়ে যেতে অনেক উৎসাহ-অনুপ্রেরণা জাগাবে।আর পোষ্ট সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্নের সমাধান পেতে মেইল করুন Bappi917@gmail.com ঠিকানায়।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।